আলবানিজকে নেতানিয়াহুর তোপ, অস্ট্রেলিয়া-ইসরাইল সম্পর্ক তলানিতে

৬ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরাইলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি ক্যানবারো ইহুদি সম্প্রদায়কে পরিত্যাগ করেছে বলেও অভিযোগ করেন ইসরাইলের নেতা।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) অফিসিয়াল এক্স পোস্টে শেয়ার করা এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইতিহাস আলবানিজকে একজন দুর্বল রাজনীতিবিদ হিসেবেই মনে রাখবে, যিনি ইসরাইলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার ইহুদিদের ত্যাগ করেছেন।’

 

অস্ট্রেলিয়ান কূটনীতিকদের ইসরাইলের ভিসা বাতিল ঘোষণার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করলেন।

 

ক্যানবেরা ইসরাইলের রিলিজিয়াস জিওনিজম পার্টির কট্টর ডানপন্থি সংসদ সদস্য সিমচা রোথম্যানের ভিসা বাতিল করার পর তেল আবিব প্রতিশোধমূলক এই পদক্ষেপ ঘোষণা করেছিল। বিশেষ করে ক্যানবেরার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তের পর এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি এমপিকে ঢুকতে দিলো না অস্ট্রেলিয়া

 

সিমচা রোথম্যানের ভিসা বাতিল প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, ‘আমাদের দেশে বিভাজনের বীজ ছড়াতে চায় এমন লোকদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কেউ যদি ঘৃণা ও বিভেদের বার্তা নিয়ে আসতে চায়, আমরা তাকে এখানে চাই না।’

 

এর আগে গত জুনে ইসরাইলপন্থি কর্মী ও প্রভাবশালী হিলেল ফাল্ডের ভিসা বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। নিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল বলে অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। একই কারণে গত বছর ইসরাইলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আইয়েলেত শাকেদকেও অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

 

এক্স পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেন, ‘আমি ক্যানবেরায় অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসকে অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তাদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা আরোপ করার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ ইসরাইলি কর্মকর্তার ওপর তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি অযৌক্তিক।’

 

আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল, তেল আবিবের রাস্তায় ৫ লাখ মানুষ

 

তবে অস্ট্রেলিয়ার কূটনীতিকদের ভিসা বাতিলের পর নিন্দা জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক বিবৃতিতে বলেন, কূটনীতিকদের ভিসা বাতিল ইসরাইলের ‘অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া’।

 

তিনি বলেন, ‘যে সময়ে সংলাপ ও কূটনীতির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই সময়ে নেতানিয়াহুর সরকার ইসরাইলকে আরও বিচ্ছিন্ন করছে এবং শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছে।’

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন