চারদিকে শোকের ছায়া। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই আন্দ্রে সিলভাসহ না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোটা। তার অকালে চলে যাওয়া শোকে স্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। সেই রেশ আছড়ে পড়েছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ের আগে নেই কোনো উত্তাপ। অনুশীলনে নামার আগে প্রতিটা দলের ফুটবলারদের চোখে-মুখে ছিল জোটাকে হারানোর বেদনা।
আসরটা দুর্দান্ত কাটছে আল হিলালের। নকউটে তাদের দাপটে চুরমার হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যালকম, কুলেবালি, লিওনার্দোরা রীতিমতো লজ্জায় ডুবিয়েছেন গার্দিওলাকে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালেও সেটা প্রমাণের পালা। অন্যদিকে, ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষ আটে পা রাখে ফ্লুমিনেন্স। সৌদি আরবের ক্লাবটিকে সমীহ করলেও তাদের হারানোর চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত জায়ান্ট কিলাররা।
এদিকে, পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোনভাবেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছেন না চেলসি ফরোয়ার্ড পেদ্রো নেতো। সবশেষ বেনফিকার বিপক্ষে বড় জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন পর্তুগিজ তারকা। তবে, সতীর্থ ও বন্ধু জোটার মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছেন তিনি। পালমেইরাসের বিপক্ষে তার খেলার বিষয়টি পড়েছে শঙ্কায়। পর্তুগিজ তারকার ওপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন কোচ এনজো মারেস্কা।
আরও পড়ুন: শনিবার জোটা ও তার ভাইয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান
মারেস্কা বলেন, ‘পালমেইরাস শক্ত প্রতিপক্ষ। ওদের বিপক্ষ জয় পাওয়া কঠিন হবে। তবে, কাজটা আমরা করে দেখাতে চাই। নতুন মৌসুমের আগে এটা আমাদের বড় অনুপ্রেরণা যোগাবে। পেদ্রোর কষ্ট আমরা বুঝতে পারছি। খেলার সিদ্ধান্ত তার ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছিলো। তবে, দলের স্বার্থেই সে রয়ে গেছে।’
মৌসুমটা দুঃসহ কাটানো চেলসির কাছে এটা বড় সুযোগ। তাই পালমেইরাসকে হারিয়েই সেমির টিকিট নিশ্চিত করতে চান মারেস্কা। ম্যাচটা আরও একটা কারণে সবার কাছে আলদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জুলাইয়ে ১৮ বছর বয়সি উইঙ্গার এস্তাভাও উইলিয়ানকে পালমেইরাস থেকেই দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে শেষেই দলে যোগ দেয়ার কথা প্রতিশ্রুতিশীল এই ফুটবলারের। তার আগে পালেইরাসের জার্সিতে এ ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে লড়বেনই ব্রাজিলিয়ান।