বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে বেন গভির দাবি করেন, ইসরাইলি সেনাদের নিরাপত্তা ও হামাসের হাতে জিম্মিদের দ্রুত উদ্ধারে প্রার্থনার জন্যই তিনি সেখানে গেছেন।
এসময় বেন গভিরের নিরাপত্তায় সামরিক বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এর আগেও বেশ কয়েকবার আল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন কট্টরপন্থি এই নেতা। এমনকি সম্ভব হলে আল-আকসা প্রাঙ্গণে একটি সিনাগগ (ইহুদি উপাসনালয়) নির্মাণ করার ইচ্ছাও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আল আকসা প্রাঙ্গণে ইসরাইলিদের প্রার্থনার অনুমতি!
আল-আকসা মসজিদটি বিশ্বের মুসলিমদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া এটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্রতম স্থান হিসেবে পরিচিত।
কয়েক দশক ধরে ইসরাইল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি এবং অমুসলিমরা কিছু সময় পরিদর্শনের সুযোগ পায়। কিন্তু তারা সেখানে তাদের ধর্মীয় রীতি নীতি প্রদর্শন করতে পারে না।
এদিকে আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরাইলি মন্ত্রীর প্রবেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিশর। বৃহস্পতিবার মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরাইলের অতি-ডানপন্থিমন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিদর্শনকে বেপরোয়া ‘উসকানিমূলক ও চরমপন্থা’ বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেন / ইসরাইলি হামলার মধ্যে পড়ে গেলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মিশরীয় সরকারের বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে, আল-আকসা প্রাঙ্গণে বেন-গভিরের প্রবেশ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের অনুভূতি আঘাত করেছে। একইসঙ্গে এই ধরনের লঙ্ঘন যাতে আর না হয় সেই জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিশর।
]]>