সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার উত্তর কুটিচন্দ্র খানা নীল কুমর নদীর পাড় থেকে বিশাল আকৃতির এই শিকারি পাখিটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তিতে শকুনটি আটকা পড়ে।
মূলত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো থেকে নিরাপত্তা ও খাদ্যের জন্য যেসব পরিযায়ী পাখি পরিত্রাণ করে থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম হিমালয়ী গৃধিনী। প্রতি বছর শীতকালে এই শকুন বাংলাদেশের সমতল ভূমিতে আসে।
সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার উত্তর কুটিচন্দ্র খানা নীল কুমর নদীর পাড় থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ পথ ভ্রমণে অনেক শকুন অসুস্থ হয়ে উড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এমনি বিশাল আকৃতির এই শকুনটি ক্লান্ত হয়ে নদীর পারে বিচরণ করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ রংপুরের সদস্যদের অবগত করে। পরে সোমবার বিকেলে রংপুরের কারমাইকেল কলেজে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্যরা বিশাল আকৃতির শকুনটি নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা শকুনটিকে দেখতে ভিড় জমায়।
ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্য মহসিন আহমেদ ও নাহিদ হাসান মিরাজ বলেন, আমরা প্রথমে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি পাখিটি নদীর পারে নামলে তারা ধরে রাখে। এরপর তারা কি করবে বুঝে উঠতে না পারায় আমাদেরকে জানান। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শকুনটিকে উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: বিপন্নপ্রায় হিমালয়ী গৃধিনী শকুন উদ্ধার করল 'ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ টিম'
ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ রংপুরের অর্থ সম্পাদক লিজেন আহমেদ প্রান্ত বলেন, হিমালয়ী গৃধিনী শকুনটি কিছুটা অসুস্থ। পরিচর্যার জন্য দিনাজপুরের সিংড়া রেসকিউ সেন্টারে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিশালদেহী শকুনটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ৭ ফুট এবং ওজন প্রায় ১০ কেজি। প্রতি শীতে প্রায় ১০০টি পাখি বাংলাদেশের সীমানায় দেখা যায়। ২০১৪ সাল থেকে হিমালয় গৃধিনী নিয়ে সরকারের বন অধিদপ্তর আর বেসরকারি সংস্থা আইইউসিএন কাজ করছে।