জানা যায়, তীব্র গরম আর তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। তাপপ্রবাহ থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকে ভিড় করছেন ঠান্ডা পানীয় আর শরবতের দোকানে। তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর। তীব্র গরমে কাজ করতে অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান তারা।
রিকশাচালক হায়দার আলী বলেন, ‘গত ৩/৪ দিন ধরে আমাদের এখানে খুব গরম। কাঠফাটা রোদে রিকশা চালাতেই পারি না। একটু কাজ করলেই হাপিয়ে যাই। তাই কাজ করি আর বিশ্রাম নেই। সারা দিন কাজ করতে পারি না। শরীরে কুলায় না।’
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী, তাপমাত্রা ৩৯.৬
কলেজ শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই খুব গরম। রাতে গরমে ঘুমাতে পারি না। আর দিনের বেলায় কাজ না থাকলে বাসা থেকে খুব একটা বের হই না। গরম থেকে বাঁচতে শরবতের দোকানে এসেছি। ঠান্ডা শরবত খেলে একটু ভালো লাগে।’
সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ নুর আলম জানান, গত কয়েকদিন ধরে এই জেলার তাপমাত্রা বাড়ছে। রোববার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দু-এক দিনে এই তাপমাত্রা থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।