বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ঈদের পর চাহিদা কমায় দাম কমেছে সব ধরনের মুরগির। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকায়।

এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: ‘হিসাবকিতাব বুঝি না, বাজারে স্বস্তি চাই’
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা না থাকায় দাম কমেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা দিদার বলেন, বাজারে বেচাকেনা কম। মানুষ মুরগি কম খাচ্ছেন। এতে চাহিদা কমায় দামও পড়ে গেছে।
আরেক বিক্রেতা জাহিদ বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা কম থাকার কারণে খামার পর্যায়েই এখন মুরগির দাম কিছুটা কম। এতে মুরগির দাম কমেছে।
মুরগির দাম কমলেও বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।
তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০-১২৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বেড়েছে শাক-সবজির দামও। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে শাক-সবজি কম আসছে। এতে দাম বাড়ছে কিছুটা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে সবজির। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্তও বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।
বাজারে প্রতি কেজি করলা ৭০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, সজনে ডাটা ১২০ টাকা ও ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৫০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার।
আরও পড়ুন: মুরগিতে স্বস্তি, কমছে লেবু-শসা-বেগুনের দামও
তবে রমজানজুড়ে ভোগানো লেবুর ডজন নেমে এসেছে ৫০-৬০ টাকায়। বিক্রেতার বলছেন, রমজানে যেখানে লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়, সেখানে এখন দাম কমে ডজনই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
লেবু বিক্রেতা শামীম বলেন, বাজারে নতুন লেবু আসছে। এতে দাম কমছে। মান ও আকার ভেদে প্রতিপিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ১-৪ টাকায়। বৃষ্টি হলে লেবুর উৎপাদন বাড়বে। তখন দাম আরও কমবে।
এদিকে বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল থাকলেও চড়েছে পেঁয়াজের বাজার। খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। আলুর জন্য গুনতে হচ্ছে ২০-২২ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
]]>