মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরের একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করা হয়।
আবদুস সাত্তার (৫১) সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং ল্যান্টানা লজ ডরমিটরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি আদালতে দুটি ধারায় দোষ স্বীকার করেন। প্রথমটি হলোপাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজন এবং দ্বিতীয়টি হলো পাবলিক এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়াই জন বিনোদনমূলক আয়োজন।
আদালতে ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শেলডন লিম জানান, সাত্তার তার কোম্পানি এসবিএম ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড অটোমেশন এর অধীনে পরিচালিত ল্যান্টানা লজে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশি বক্তা আমির হামজাকে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: এবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আমির হামজাকে লিগ্যাল নোটিশ
আমির হামজাকে ‘চরমপন্থি ইসলামি বক্তা’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রসিকিউটর জানান, ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার আল-কায়েদা-সমর্থিত এক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
২০২৪ সালের ৯ আগস্ট সিঙ্গাপুরের জাতীয় দিবস উপলক্ষে ল্যান্টানা লজে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেন সাত্তার। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও প্রার্থনা পরিচালনার জন্য আমির হামজা এবং ইসলামি সংগীত পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের প্রচারের জন্য প্রকাশিত একটি ডিজিটাল পোস্টারে জানানো হয়- এটি ‘সিঙ্গাপুরের সকল বাসিন্দার জন্য উন্মুক্ত’। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় লজের প্রবেশদ্বারে কোনো নিরাপত্তা কর্মী ছিল না এবং প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এর ফলে প্রায় ৬০০ জন বিদেশি শ্রমিক ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আবারও ক্ষমা চাইলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা
প্রসিকিউটর জানান, বক্তব্যে আমির হামজা তার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতের বিরোধীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন, যা উপস্থিত শ্রমিকদের মধ্যে চরমপন্থা ও র্যাডিক্যালাইজেশনের ঝুঁকি তৈরি করে।
ঘটনার কয়েক দিন পর ১২ আগস্ট পুলিশ একটি বেনামী অভিযোগ পায়। ততদিনে আমির হামজা ও নিয়ামত উল্লাহ সিঙ্গাপুর ত্যাগ করেন।
প্রসিকিউটর জানান, আবদুস সাত্তার একজন বিদেশি বক্তাকে অবৈধভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের সুযোগ দিয়েছেন। এসব বিবেচনায় তাকে মোট ৭ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানা করা হয়।
সূত্র: সিএনএ

৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·