বুধবার (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামে ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস উইকেট দেখে জানিয়েছিলেন, এই উইকেটে ১৮০ ভালো স্কোর। ক্যারিবীয়রা ব্যাটিংয়ে নেমে এক সময় দুইশ'র বেশি স্কোরের পথে ছুটলেও মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেনদের দারুণ বোলিংয়ে ১৪৯ রানেই থামে।
বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম রানে আটকে দিলেও ব্যাটাররা নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতে পারেননি। তানজিদ তামিম ছাড়া বাকিরা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ফলে ৪৮ বলে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৬১ রান করেও পরাজিতের দলে এই বাঁহাতি।
তবে, হারের জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন তানজিদ তামিম। এই ওপেনার মনে করেন, তিনি শেষ পর্যন্ত থাকলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতো।
আরও পড়ুন: দাপুটে জয়ে সিরিজ শুরু করল আফগানিস্তান
ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘আসলে ম্যাচ না জেতায় কিছুর ভ্যালু থাকে না। উইকেট যেমন ছিল সেট ব্যাটারদেরই শেষ করতে হয় এখানে। একটু স্কিডি ছিল, আসছিল না ব্যাটে। নতুন ব্যাটারদের জন্য এই উইকেট একটু কঠিন যেয়েই হিটিং করার। আমার কাছে মনে হয় আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম ম্যাচটা বের হয়ে যেতো।’
এই যুগে ১৫০ রান তাড়া করা যেকোনো উইকেটেই মামুলি ব্যাপার মনে করা হয়। বিশেষ করে হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ৩ ওভারে ৩৩ রান তাড়া করতে না পারাটা বড়সড় ব্যর্থতা বলেই ধরা যায়। জাকের-শামীমদের এ জন্য কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকেই। তবে তানজিদ তামিমের দাবি, উইকেট একটু স্টিকি হওয়ায় নতুন ব্যাটার নেমেই চার-ছক্কা মারা একটু কঠিন।
আরও পড়ুন: ওরা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, রাজ্জাক ভাই যেন নজর দেয়
এই ওপেনার বলেন, ‘অবশ্যই, আপনাকে যেটা বললাম এই উইকেটে সেট ব্যাটারেই শেষ করতে হয়। কারণ নতুন ব্যাটার গিয়েই হিটিং করাটা খুব কঠিন এই উইকেটে। আপনারাও দেখেছেন উইকেটটা কেমন আচরণ করেছে। ওদেরও একই অবস্থা হয়েছে, মারতে গিয়ে আউট হয়েছে। আমার মনে হয় আমার যেটা দায়িত্ব ছিল...আমি যদি শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা পালন করতে পারতাম তাহলে হয়ত সহজেই ম্যাচটা বের হয়ে আসতো।’
নানান ব্যাখ্যার শেষে হারের দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন তানিজিদ তামিম, ‘দেখুন, আপনাকে যেটা বললাম এখানে গিয়েই মারাটা কঠিন এই উইকেটে। আমার মনে হয় এটাই আসল কারণ। ওইখানে আমার দায়িত্বটা একটু বেশি ছিল। আমি আমার দায়িত্বটা পালন করতে পারিনি।’

১৩ ঘন্টা আগে
২








Bengali (BD) ·
English (US) ·