আমনের ক্ষেতে মাজরা পোকা-ব্লাস্টের প্রকোপ, ফলন নিয়ে শঙ্কায় রংপুরের চাষিরা

৩ সপ্তাহ আগে
কাটার আগ মুহূর্তে মাজরা পোকা, ব্লাস্টসহ নানা রোগের আক্রমণে প্রায় ৩০ শতাংশ ধানে চিটা ধরেছে। ধানের শিষ কালো হয়ে যাওয়া ও গোড়ায় পচনের কারণে উৎপাদনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানাচ্ছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বিস্তীর্ণ রংপুর অঞ্চলে আমন ধানের আবাদ প্রায় সম্পূর্ণ। কয়েকদিনের মধ্যে ঘরে উঠবে সোনালি ফসল। কিন্তু অনেক ক্ষেতের ধানের শিষ কালো হয়ে গেছে, গোড়ায় পচন ধরেছে। এ অবস্থায় অর্ধেক ধানের ফলন পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় কৃষক।

 

চাষিরা জানিয়েছেন, চার থেকে পাঁচটি শীষের মধ্যে তিন-চারটি শিষে কালো দাগ দেখা যাচ্ছে। পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

ধান কাটার আগ মুহূর্তে এমন বিপর্যয়ে দিশেহারা চাষিরা। ৫ থেকে ৬ দফা কীটনাশক প্রয়োগেও সুফল মিলছে না। চাষিরা বলছেন, উৎপাদন ১০ থেকে ১২ মণ ধান হওয়া উচিত ছিল, এবার ৫ মণও হবে না।

 

আরও পড়ুন: বেঁধে দেয়া দামের বাস্তবায়ন নেই, আলু নিয়ে বিপাকে চাষি-হিমাগার মালিকরা

 

তবে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়ার গতানুগতিক দাবি কৃষি বিভাগের। রংপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কৃষকদের সঠিক সময়ে পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে তারা স্পট ধানে সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ স্প্রে করতে পারেন।’

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তাপমাত্রা বেশি হলে জমিতে পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। ৩৬-৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও জমিতে পানি ধরে রাখলে তাপমাত্রা কমানো যায় এবং ধানের ক্ষতি কিছুটা রোধ করা সম্ভব।’

 

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে ৬ লাখ ২১ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন