আম পাড়ায় শিশুকে গাছে বেঁধে পেটালেন প্রতিবেশী

২ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় না বলে গাছ থেকে আম পাড়ার অপরাধে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে গাছে বেঁধে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে পাংশা পৌর শহরের মৌকুরি মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা মো. রবিউল ইসলাম।


অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- মৌকুরি মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হবিবর সরদারের ছেলে শামীম সরদার (৪৫)।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর নাম রাব্বি ওরফে রাফি (১০)। সে মৌকুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন: তরুণীকে নির্যাতন: রিমান্ডে আপন কফি হাউসের ২ কর্মী

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাফিসহ তার বন্ধুরা শামীমের আম গাছ থেকে কয়েকটি আম পাড়ে। বিষয়টি শামীম দেখে রাফিকে ধরে মারপিট করে এবং শামীমের বাড়ির মধ্যে একটি মেহগুনি গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। রাফির কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাফির বাড়িতে পৌঁছে দেয়।


ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার ফাঁকে প্রতিবেশী  শামীম সরদারের আম গাছ থেকে আম পাড়ে। এ অপরাধে শামীম সরদার আমার ছেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। ভয়ে আমি সেখানে যাইনি। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে আনে। আমার ছেলে অসুস্থ হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’


‎‎এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শামীম সরদারের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বসতঘর তালাবদ্ধ দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনার পর থেকে তারা কেউ বাড়িতে নেই।

আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা, স্বামী-দেবর আটক

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাফি নামের ওই শিশুটি ফিজিক্যাল এসল্ট নিয়ে হাসপাতালে আসে। তার বাম পায়ে ও পিঠের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়।’


‎‎পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আহত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। অভিযুক্তের বাড়িতে কাউকে পায়নি পুলিশ। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন