শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের দরকার আরও ১২১ রান। অন্যদিকে সফরকারী পাকিস্তানকে জিততে হলে শিকার করতে হবে আরও ৭ উইকেট।
এর আগে সুপার স্পোর্ট পার্কে পাকিস্তান ২৩৭ রান অলআউট হয়েছে। প্রথম ইনিংস শেষে ৯০ রানে পিছিয়ে ছিল শান মাসুদের দল।
৩ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে পাকিস্তান। বাবর আজম ১৬ রানে ও সৌদ শাকিল ৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে। তবে বৃষ্টির কারণে দিন লাঞ্চের আগে খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে শেষ হাসি নিউজিল্যান্ডের
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে বাবর ও মাসুদ ইনিংস টেনে নেন। ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এরই মধ্যে অর্ধশতক পূর্ণ করেন বাবর। ৮০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। তবে এরপর আর ৫ বল টিকেছেন বাবর। ৯ চারে ঠিক ৫০ রান করে ইয়ানসেনের শিকারে পরিণত হন সাবেক এই অধিনায়ক।
বাবরের বিদায়ের পর মড়ক লাগে পাকিস্তানের ইনিংসে। ইয়ানসেনের তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩, আগা সালমান ১ রান করে বিদায় নেন। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।
আমের জামালকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন শাকিল। ৩২ রানের ছোট্ট একটা জুটিও হয়। কিন্তু ১৮ রান করা জামালকে বিদায় করেন ড্যান পিটারসেন। পরের ওভারে নাসিম শাহকে ফেরান রাবাদা।
সৌদ শাকিল একাই লড়ছিলেন। সেঞ্চুরির পথেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও থামান ইয়ানসেন। তার আগে ১১৩ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮৪ রান করেন। আর ১ রান যোগ হতেই মোহাম্মদ আব্বাসকে আউট করে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দেন বশ্চ।
এই ইনিংসে মার্কো ইয়ানসেন ১৪ ওভারে ৫২ আন দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন। রাবাদা ২টি এবং করবিন বশ্চ, পিটারসেন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: কনস্টাসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে কোহলির দায় দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড প্রধান
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানের মাথায় টনি ডি জর্জির (২) উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। মোহাম্মদ আব্বাস তাকে ফেরান। পরের ওভারে রায়ান রিকেলটনকে ফেরান খুররম শেহজাদ। রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ১৯ রানের মাথায় ত্রিস্তান স্ট্যাবসকে (১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আব্বাস। দিনের বাকি সময়টা এইডেন মার্করাম (২২) অধিনায়ক টেম্বা বাভূমাকে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন।
মোহাম্মদ আব্বাস ৪ ওভারে তিন মেডেনসহ মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন। শেহজাদ বাকি উইকেটটি শিকার করেন।