পাঁচ ম্যাচে চারটি করে জয়ে সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষ করলো আবাহনী-রহমতগঞ্জ। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে পুলিশ এফসি। ১৭ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু বক্সের জটলার ভেতর থেকে গোল করতে পারেনি। অন্যদিকে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। মাঝমাঠ থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মানিক মোল্লা দারুণ একটি পাস বাড়ান আকাশকে। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: বড় ক্লাবের মালিক হতে চান রোনালদো
বিরতির পর ৬০তম মিনিটে দ্বিতীয়বার বল জালে জড়িয়েছিলেন আকাশ। কিন্ত অফসাইডে কারণে তার গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বিপরীতে পুলিশ আক্রমণ করেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। খেলার শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে আবাহনী।
৭৬ মিনিটে সুযোগ এসেছিল, তবে শাহরিয়ার ইমনের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে ৮৮ মিনিটে ইমনের গোলেই ব্যবধান বাড়ায় আবাহনী। ডান দিক দিয়ে এক দৌড়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফুটবলার।
দিনের আরেক ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে স্রেফ উড়ে যায় ফকিরেরপুল। প্রথমার্ধেই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিল তারা। স্যামুয়েল বোয়াটেংয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর পেনাল্টি থেকে আকোবির তুরায়েভ সমতায় ফেরান তাদের। কিন্তু একপেশে দ্বিতীয়ার্ধে ফকিরেরপুল আর কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ব্যালন ডি'অর ভিনিসিউসের প্রাপ্য ছিল: রোনালদো
৫৪তম মিনিটে রাজন হাওলাদারের গোলে ফের পিছিয়ে পড়ে ফকিরেরপুল। এরপর ৬৬ থেকে ৭২-এই ছয় মিনিটে তাজ উদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন ও বোয়াটেংয়ের গোলে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ।
এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ গোলের দেখা পেলেন জীবন। বছর শেষের আগে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় এখন সবার উপরে সর্বশেষ মৌসুমে আবাহনীর তাবুতে থাকা এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পুরান ঢাকার দলটির হয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান রাজন। আর তাতে বিশাল জয় নিশ্চিত হয় রহমতগঞ্জের।
]]>