মিরপুরের রূপনগরে শিয়ালবাড়ি এলাকায় পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ এর স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় এই দাবি জানানো হয়।
এনসিপির নেতাকর্মীরা বলেন, কেমিক্যাল একটি বিপদজনক বস্তু। আবাসিক এলাকায় এসব স্থাপনা মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলছে।
এ সময় দলটির নেতারা ঘটনায় শ্রমিক হত্যার বিচার, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং অবৈধ কেমিক্যাল গোডাউন ও গার্মেন্টস মালিকদের আটকের দাবি জানান।
পাশাপাশি সরকারের প্রশাসন এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না উল্লেখ করে কেমিক্যাল গোডাউনের লাইসেন্স প্রদান এবং নজরদারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবিও জানায় এনসিপি।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তরের আবাসিক এলাকা থেকে সকল কেমিক্যাল গুদাম ও অবৈধ কারখানা সরানোরও দাবি জানান বক্তারা।
আরও পড়ুন: রাসায়নিক গুদামটি অবৈধ, তিনবার নোটিশও দেয়া হয়েছিল: ফায়ার সার্ভিস
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক মনসুর আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াঁজো কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব, কেন্দ্রীয় সদস্য ইমরান নাঈম, জায়েদ বিন নাসের, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সরদার আমিনুল, জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মেহেদী হাসান, শাহ আলী থানার প্রধান সমন্বয়কারী শফিকুল ইসলাম রানা, মডেল থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী রাসেল তালুকদার ও ফায়ার স্পেশালিষ্ট ফয়সাল আহমেদ, পল্লবী থানার প্রতিনিধি রেহেনা আক্তার রুমা, তানভীর আহমেদ, রুপনগর থানার তাহমিনা শারমিনসহ অনেকে।
উল্লেখ্য: মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রূপনগরে গার্মেন্টসের প্রিন্টিং কারখানা এবং কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। এখন পর্যন্ত আগুনে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এর কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপিও।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·