আফগানিস্তানের কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ট্রট

৩ সপ্তাহ আগে
২০২২ সালে জোনাথন ট্রটকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল আফগানিস্তান। তার হাত ধরেই আফগানিস্তান ক্রিকেটে এক উন্নয়নের যুগের সূচনা হয়েছিল, রশিদ খানরা বিশ্বমঞ্চে পেয়েছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। কিন্তু আদ্গান ক্রিকেটের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটারের পথচলায় এবার ছেদ পড়তে যাচ্ছে।

২০২৬ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তানের প্রধান কোচের পদে আর থাকছেন না জোনাথন ট্রট। সোমবার (৩ নভেম্বর) আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) নিশ্চিত করেছে, আগামী বছর পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তানের কোচ হিসেবে সাবেক এই ইংলিশ তারকার মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ানোর কথা।


বোর্ড জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত জাতীয় দলের পরবর্তী ধাপের উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদের 'দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা'র অংশ।


২০২২ সালে আফগানিস্তান জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেক ট্রট দলটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার তত্ত্বাবধানে আফগানরা র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে বেশ কিছু স্মরণীয় জয় পেয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়ে নিজেদের সুনাম প্রতিষ্ঠা করেছে আফগানরা।

 

আরও পড়ুন: পিসিবি চেয়ারম্যানকে ভারতের হুমকি–৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রফি না পেলে...


ট্রটের মেয়াদকালে আফগানদের সেরা সাফল্য এসেছে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ইতিহাসের প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়ে চমক দেখায় তারা।


ইংল্যান্ডের হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ৬৮টি ওয়ানডে খেলা ট্রট আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে জীবনের অন্যতম গর্বের অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আফগানিস্তান জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য এক বিশাল সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। খেলোয়াড়দের আবেগ, দৃঢ়তা আর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমাকে মুগ্ধ করেছে।'


 

ট্রটের অধীনে আফগানিস্তানের ক্রিকেট নতুন যুগে প্রবেশ করেছিল। ছবি: এপি


তিনি আরও বলেন, 'আমরা একসঙ্গে যা অর্জন করেছি, তাতে আমি গর্বিত। আমি সবসময় আফগান ক্রিকেটের একজন সমর্থক হয়ে থাকব। দলের ও আফগান জনগণের জন্য ভবিষ্যতে আরও সাফল্য কামনা করছি।'


আরও পড়ুন: দশম শ্রেণিতে ফেল, ছিলেন না স্কোয়াডেও–সেই শেফালিই এখন বিশ্বকাপ হিরো


আগামী বছরের বিশ্বকাপের পরবর্তী পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এসিবি জানিয়েছে, 'যেভাবে দল সময়ের সঙ্গে বিকশিত হয়, তেমনি তাদের নেতৃত্ব ও কৌশলগত চাহিদাও বদলায়। কোনো আন্তর্জাতিক দলই চিরকাল একই কোচের অধীনে থাকে না। এই পরিবর্তন আফগানিস্তানের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যেখানে বোর্ড দীর্ঘমেয়াদি উৎকর্ষের পথে এগিয়ে যাবে।'


সম্প্রতি আফগানিস্তান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছানোয় ২০২৬ সালের ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন