আফগানিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের শুভ সূচনা

২ সপ্তাহ আগে
এশিয়া কাপের আগ মুহূর্তে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের ৩৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে সালমান আগার দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই ১৪৩ রানে অলআউট হয় আফগানরা।

এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। টুর্নামেন্টটি শুরুর আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে নিয়ে সিরিজের আয়োজন করেছে তারা। তিনটি দলই এই টুর্নামেন্ট খেলছে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে।

 

আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। প্রথম ওভারেই ১২ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। তবে স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ হতেই ওপেনার সাহিবজাদার উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১০ বলে ২১ রান এই ব্যাটারকে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

 

এরপর উইকেটে থিতু হয়েও সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব ও ফখর জামান। দলীয় ৫৫ রানের মাথায় রশিদ খানের বলে ফরিদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ১৪ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। তার কিছুক্ষণ পরই ফখর জামানকে ফেরান মোহাম্মদ নবী। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২০ রান। 

 

পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ধুঁকতে হয়েছে হাসান নাওয়াজকে। মাত্র ৯ রান করতে বল খেলেছেন ১৩টা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সালমান আলী আগা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।     

 

আরও পড়ুন: জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও মদুশঙ্কার হ্যাটট্রিকের কাছে হেরে গেল জিম্বাবুয়ে

 

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে ২৭ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন সালমান। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় নাওয়াজকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুজির উর রহমান। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২১ রান। 

 

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে ২২ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন সালমান আগা। ১৩ বলে ১৫ রান করে ফরিদের বলে সেদিকুল্লাহ আতালের হাতে ক্যাচ দিয়ে হারিস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। 

 

এক প্রান্ত আগলে রেখে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন সালমান আগা। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান অধিনায়ক। অন্যদিকে ৫ বলে ১৪ রানের ক্যামিও খেলেন ফাহিম আশরাফ। আর তাতেই পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। 

 

লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করে ৯ রান করা ইব্রাহিমকে সাজঘরে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি। এরপর সেদিকুল্লাহ আতালকে নিয়ে আফগানদের ইনিংসকে এগিয়ে নেন গুরবাজ। পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান তুলে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিল আফগানরা। 

 

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে রোহিতকে!

 

তবে দারুণ খেলতে থাকা গুরবাজকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ নাওয়াজ। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৩৮ রান করেন এই ব্যাটার। অন্যদিকে ইনিংস বড় করতে পারেননি সেদিকুল্লাহ। ১৯ ২৩ রান করে হারিস রউফের বলে আউট হন আতাল। এরপরই ধস নামে আফগানদের ইনিংসে। 

 

একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই করিম জানাতকে সাজঘরে ফেরান রউফ। ওই ওভারে কোনো রান না দিয়েই দুই উইকেট শিকার করেন এই পেসার। পরের ওভারে প্রথম বলেই ২১ রান করা দারউইশ রাসুলিকে আউট করেন সুফিয়ান মুকিম। 

 

আজমতউল্লাহ ও মোহাম্মদ নবীও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪ তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় আফগানিস্তান। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন রশিদ খান। তবে তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি। মাত্র ১৬ বলে পাঁচটি ছক্কা ও এক চারে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন রশিদ খান। এরপর দলীয় রানে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে চার উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন