টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলের তাঁতপল্লিতে কান পাতলেই শোনা যায় ঠক ঠক শব্দ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁতিরা ব্যস্ত থাকেন কাপড় বোনার কাজে।
তাঁতের শাড়ি বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত করেছে এ তাঁতপল্লির বাসিন্দাদের। তবে দিনে দিনে হারাচ্ছে এ শিল্পের জৌলুস। তাঁতি ও ব্যবসায়ীদের দাবি, আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাঁতের শাড়ির ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এতে আগের মতো নেই পাইকারদের ভিড়।
আরও পড়ুন: শীত বাড়ায় সিরাজগঞ্জের কম্বল পল্লীতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা
সংকটের মুখে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নানা কৌশল অবলম্বন করেও লাভ হচ্ছে না বলে জানান তাঁতিরা। তারা বলেন, উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রমের তুলনায় দাম খুবই কম।
তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আর ঋণসহায়তা পেলে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শিল্পটির গৌরব ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। টাঙ্গাইল দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল তাঁত মালিক সমিতির সভাপতি রগুনাথ বসাক বলেন, খরচ বাড়ায় উৎপাদন ও বিক্রি কমে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁতিরা। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে তাঁতশিল্প। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণসহায়তা পেলে আবারও শিল্পটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির আগে লক্ষাধিক তাঁতে শাড়ি তৈরি হলেও বর্তমানে চালু আছে ১০ থেকে ১৫ হাজারটি।