গ্রেফতারের প্রায় এক মাস পর প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হলে বিচারকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে ইমামোগলুকে আদালতে নেয়া হলে বাইরে বিক্ষোভ করেন তার শত শত সমর্থক।
দুর্নীতি ও একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তাসহ বেশ কিছু অভিযোগে গত ১৯ মার্চ তুর্কি কর্তৃপক্ষ ইমামোগলুকে আটক করে। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুরস্কজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। আটকের পাঁচদিনের মাথায় ২৩ মার্চ তাকে আনুষ্ঠানিকভাব গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি শুরু হয়। এদিন গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান ট্রাম্পের, পুতিনের সাথে উইটকফের বৈঠক
আদালতে ইমামোগলু দাবি করেন, তিনি বন্দি কারণ ইস্তাম্বুলে তিনবার নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এরদোয়ানের ইস্তাম্বুলে যে জিতবে, তুরস্কেও সেই জিতবে, এ ধারণা থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে সহায়তার অভিযোগ আটক করা হলেও ইমামোগলুকে এদিন একটি ভিন্ন মামলায় বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় ইমামোগলুর বিরুদ্ধে ইস্তাম্বুলের প্রধান প্রসিকিউটর আকিন গুরলেকে ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, মামলা আগামী জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবীরা এই মামলায় ইমামোগলুর সাত বছর চার মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাল্টাপাল্টি হামলায় বিপর্যস্ত রাশিয়া ও ইউক্রেন
এদিকে ইমামোগলুকে আদালতে হাজির করা হলে বাইরে বিক্ষোভ করেন তার শত শত সমর্থক। দ্রুত তার মুক্তির দাবি জানান। তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, নানামুখী অস্থিরতার কারণে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আগাম নির্বাচনের।
]]>