আদালতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার ২ সাংবাদিক, বিক্ষোভ

৩ সপ্তাহ আগে
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা তাদের মারধর করার পাশাপাশি ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় সংবাদপত্রের দুই সাংবাদিক, এন আমিন রাসেল ও মনিরুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহের জন্য বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গেলে তথ্য সংগ্রহের সময় অতর্কিত হামলার শিকার হন।

 

ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক এন আমিন রাসেল বলেন, ‘আমরা যখন মোটরসাইকেলে করে বের হচ্ছিলাম, তখন ছাত্রদলের সোহেল রাঢ়ির নেতৃত্বে একদল যুবক আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের মারধর করে এবং আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে হামলা চালায়। পরে আমাদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’


সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তারা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমাদের বেধড়ক মারধর করে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার চাই।’

 

সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

 

আরও পড়ুন: সাংবাদিকের বেতন ৩০ হাজারের নিচে নামা যাবে না: শফিকুল আলম

 

সাংবাদিক ফোরাম বরিশালের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাসান বলেন, সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হামলার শিকার হন, তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরমভাবে লঙ্ঘিত হবে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

 

বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা না থাকলে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমও থাকবে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এটি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

 

অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে সাংবাদিকরা অবরোধ তুলে নেন।


আরও পড়ুন: বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, ৪ ভুয়া সাংবাদিক গ্রেফতার

 

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। আমরা ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

 

এদিকে, গত এক মাসে বরিশালে একের পর এক সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। প্রকাশ্যে হত্যা, সেনা সদস্য অপহরণ, গাছে ঝুলিয়ে মারধর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার মতো অন্তত পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন