রক্তের সম্পর্ক বা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ফরজ। কেউ এ সম্পর্ক ছিন্ন করলে জান্নাতে যেতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমরা সতর্ক থাকো রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়দের ব্যাপারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পর্যবেক্ষক। (সুরা নিসা ১)
আত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ করলে মহান আল্লাহ এর বিনিময়ে বান্দার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, জীবনে বরকত নেমে আসে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি রিজিক (জীবিকা) প্রশস্ত হওয়ার এবং আয়ু বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে। (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)
আরেক হাদিসে আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেছেন,
ইসলামি শরিয়তে প্রত্যেকের সাধ্যানুযায়ী আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে অধিক নিকটতম আত্মীয়রা অগ্রাধিকার পাবে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মাকদিস এলাকা নিয়ে নবীজির ভবিষ্যদ্বাণী
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
এক ব্যক্তি নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, ইয়া রসুলাল্লাহ! আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন আছে। আমি তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি, কিন্তু তারা আমার প্রতি খারাপ আচরণ করে। আমি তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি, অথচ তারা আমার সঙ্গে অবজ্ঞা করে। আমি তাদেরকে সহ্য করি।তখন রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি তুমি যা বলছো, তা সত্যি হয়, তাহলে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই ঢেলে দিচ্ছো! তোমার এ আচরণ তাদের জন্য বিপদের কারণ। যতক্ষণ তুমি এভাবে সহ্য করে ভালো আচরণ চালিয়ে যাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সহায়তাকারী তাদের মোকাবিলায় তোমার পাশে থাকবেন।(আল-আদাবুল মুফরাদ ৫২)
]]>