শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শিহিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ রাত ১টার দিকে উপজেলার শিহিপুর গ্রামের মো. ইসলামুলের বাড়ির গোয়াল ঘরে আগুন লাগে। পরে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।
পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে গোয়ালঘরে বেঁধে রাখা পাঁচটি গরু, সাতটি ছাগলসহ হাঁস-মুরগি আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। এ সময় বসতভিটাসহ আরও দুটি ঘর পুড়ে যায়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: সাতসকালে মিরপুরে ঝুট গুদামে আগুন
তবে ধারণা করা হচ্ছে, কোয়েলের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামুল হক বলেন, ‘বসতবাড়িতে আগুন লেগে গোয়ালঘরের পশুসহ সব পুড়ে গেছে। আমি একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি একজন দিনমজুর। মানুষের বাড়িতে কাজ করে ভাত খাই। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব। আমার সংসার কীভাবে চলবে।’
তবে আগুন কোথা থেকে লেগেছে এ ব্যাপারে তিনি কোনো কিছু বলতে পারেননি। তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: গজারিয়ায় আগুনে পুড়ল ডাইং কারখানা
এ বিষয়ে রায়পুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রমজান আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পাঁচটি গরু সাতটি ছাগল এবং হাঁস মুরগিসহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য সহযোগিতার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম জানান, একইরাতে তিনটি ইউনিয়নে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে অসাবধানতার কারণে। তবে রায়পুর ইউনিয়নে এক দিনমুজুরের সব পুড়ে গেছে। যেসব এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তবে কাউকে যেন খোলা আকাশের নিচে থাকতে না হয় সে জন্য সরকারি সুবিধা দেয়া হবে। বর্তমানে শুকনো খাবার চাল ও বস্ত্র দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।