সরজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জে মাঠের পর মাঠ সবুজ আর লাল ফুলে ভরে উঠেছে শীতের আগাম শিম গাছ। ফুলকপি ও বাঁধাকপিরও বাম্পার ফলন হয়েছে মাঠজুড়ে। সবজির ভালো দাম থাকায় মধ্যরাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি থেকে সবজি সংগ্রহ, বিক্রি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
হেমন্তে আগাম শীতের শাক-সবজি চাষে বেশি লাভ হওয়ায় খুশি কৃষকরা। আগাম উৎপাদনের মাধ্যমে তারা লাখ লাখ টাকার আয়ের আশা করছেন। সাটুরিয়া উপজেলার কৃষক বশির জানান, কয়েক বিঘা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মুলাসহ নানা সবজি চাষ করেছি। আগাম উৎপাদনের কারণে কপি বর্তমানে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন প্রচুর লাভ হচ্ছে।
রফিক নামের অপর এক কৃষক জানান, রফিক নামের অপর কৃষক বলেন, সাটুরিয়া, সদর ও সিংগাইরের জমিতে প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়, যা ঢাকার চাহিদা পূরণ করছে। ভোর রাত চারটা থেকে কপি ও শিম কেটে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করছি। শিমের ভালো দাম মিলছে। তবে যত বেশি উৎপাদন হবে, চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমে আসবে। তাই অনেক আগে থেকে কষ্ট করে আগাম চাষ করছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া / পতিত জমিতেই ‘টাকার গাছ’, সুপারি চাষে ফিরছে গ্রামের অর্থনীতি
চার বিঘা জমিতে কমপক্ষে তিন লাখ টাকার লাভের আশা রয়েছে জানিয়ে তিন আরও বলেন, আগাম চাষ না করলে কোনো আয় পাওয়া সম্ভব হতো না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও কৃষকদের সহযোগিতা করছে।
সিদ্দিক নামে আরেক কৃষক বলেন, আগে চাষাবাদে লাভ হতো না, লোকসানই হতো। তাই প্রতিবছর আগাম চাষ করে এখন ভালো আয় পাচ্ছি। ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি, নতুন ঘর তৈরি করেছি এবং কিছু জমি কিনেছি। সব মিলিয়ে ভালো আছি।
কৃষকদের উৎসাহিত করতে এবং রোগ-বালাই থেকে শাক-সবজিকে রক্ষা করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাজাহান সিরাজ জানান, আগাম চাষাবাদের কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এ খাতে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১১ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আগাম চাষাবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় একশ হেক্টর বেশি।
]]>
১৪ ঘন্টা আগে
১







Bengali (BD) ·
English (US) ·