আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছিলেন মেয়র লিটন, এবার ছাঁটাই

১ সপ্তাহে আগে
প্রশাসনিক কাঠামোর বাইরেও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে খোলা হয়েছিল বিশেষ নয়টি বিভাগ। সেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। করে ছিলেন অর্থের অপচয়। সম্প্রতি ব্যয় কমাতে এমন অস্থায়ী ১৭১ জন কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সিটি করপোরেশনের আয়-ব্যয়ের খাত যাচাইয়ে শুরু হয় তৎপরতা। এ সময় প্রশাসনিক কাঠামোর বাইরে নয়টি অতিরিক্ত বিভাগের কারণে অর্থ অপচয়ের বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। বেরিয়ে আসে তৎকালীন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আস্থাভাজন প্রায় ২০০ নেতাকর্মীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন এই বিভাগগুলো চালু করে সাবেক মেয়র।

 

এই বিভাগগুলোর অনুমোদন না থাকায় তাদের বেতন ভাতা দেয়া হতো বার্ষিক বাজেট থেকে। সিটি করপোরেশনের কলেবর ৯৮ স্কয়ার থেকে বাড়িয়ে ৩৪২ স্কয়ার কিলোমিটার করার জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রণালয়ে। উদ্দেশ্য ছিল প্রস্তাবনা পাস হলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে।


আরও পড়ুন: রাজশাহী থেকে অপহৃত নারী চিকিৎসক পাবনায় উদ্ধার

 

সিটি করপোরেশনের সচিব মোবারক হোসেন পারভেজ জানান, ব্যয় কমাতে অপ্রয়োজনীয় নয়টি বিভাগ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসক। এতে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ১৭১ জনকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‌আর দক্ষ কর্মচারীদের স্থানান্তর করা হবে অন্য বিভাগে।

 

বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভাগগুলো হলো-সামাজিক নিরোধ নিষ্পত্তি শাখা, ধর্ম বিষয়ক শাখা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা, শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগ, আইসিটি শাখা, সিটি মিউজিয়াম ও আর্কাইভ শাখা, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন শাখা এবং নারী ও শিশু কল্যাণ শাখা।

 

এদিকে, নেতাকর্মীদের পৃষ্ঠপোষণ করতে গিয়ে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অস্থায়ী ভিত্তিতে এই নিয়োগ দিয়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকার অপব্যবহার করেছেন সাবেক মেয়র লিটন এমনটাই মনে করেন এই সুশাসন বিশ্লেষক সুব্রত কুমার পাল।


আরও পড়ুন: গুলিবর্ষণ মামলায় ফের রিমান্ডে রাজশাহীর সাবেক এমপি আসাদ

 

আগে প্রতি মাসে বেতন বাবদ প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয় হলেও ১৭১ জন কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের ফলে তা কমে এসেছে ৫ কোটি ২০ লাখে।

 

উল্লেখ্য, সিটি করপোরেশনের ছয়টি বিভাগে স্থায়ী ৩৪৬ জনসহ মোট কর্মকর্তা কর্মচারী সংখ্যা দুই হাজার ৪৮৬ জন।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন