রোববার (১১ মে) বিকাল ৩টার দিকে নিজ এলাকা নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামে স্থানীয় মারকাজুল সাহাবুদ্দিন আল ইসলামি মাদ্রাসার সামনে গরু জবাই করে বিরিয়ানি রান্নার ব্যবস্থা করেন তিনি।
এর আগে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা পেয়েই রবিবার সকালে সকলকে ফেইসবুক মাধ্যমে বিরানি খাওয়ার (জিয়াফত) দাওয়াত দেন ওই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত মারকাজু শাহাবুদ্দিন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ইসলামি বক্তা হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
পরে দুপুর থেকেই সত্যি সত্যিই এলাকাবাসী জমতে থাকে। এরপর নিজের গোয়ালের একটি ছোট গাঁই গরু জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন। নিজ প্রতিষ্ঠান মাঠে নিজের গরু জবাই শেষে কেটে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে রান্না চলে।
ঈদ আয়োজনের মতো অনেকের আনন্দ ব্যক্ত করেন। গ্রামের অনেকেই শামিল হন এই আনন্দে। রান্নার পর খাওয়া চলে রাত পর্যন্ত। গরুর মাংস দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি খেয়েছেন গ্রামের এবং মাদ্রাসা মিলে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ।
এলাকাবাসী এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের মাঝে এমন আস্ত গরু জবাই করে বিরানি খাওয়ানোটা ঈদের আনন্দের মতোই লাগছে। তারা মনে করেন হাসিনা সরকার মানুষকে যে ধরনের নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে বিশেষ করে আলেম উলামাদের ওপর, আজ তারা সেটির বদলা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছিল বিএনপি: মির্জা ফখরুল
এদিকে আয়োজক রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ বা পতনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় আধিপত্যের পতন হয়েছে। এই জন্যেই এই আয়োজন।
শাপলা চত্বরে মানুষ মেরে হেফাজত নেতাদের মেরে আওয়ামী লীগ উল্লাস করেছিল উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম মাদানি আরও বলেন, এই খুনি হাসিনার ফাঁসি ওই শাপলা চত্বরেই দেখতে চাই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত ট্রাইব্যুনালে জালিম খুনি হাসিনার বিচার সম্পন্ন করবে বলে আশা রাখছি। আমরা চাপের মুখে রাখব যতদিন বিচার না হয়। আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশের মাটিতে আর রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।
]]>