সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সাঈদ উদ্দিন আহমেদ হানজালা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,' কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ২০২১ সালে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এন্ড হাইটেক পার্ক নির্মানে শিবচরের কুতুবপুরের ৭০.৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর কোনো এক অদৃশ্য কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস ও আর্থ সামাজিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে শিবচরবাসীর এই হাইটেক পার্ক খুবই প্রয়োজন।’
সাঈদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত ছিল এমন কিছু অসাধু সচিব ও দুর্নীতিবাজ ঠিকাদাররা বিশাল অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করার জন্য প্রকল্পটি সরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত করেছে। তাদের গরীব-দুঃখী, অসহায়, দুস্থ-মেহেনতি খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষ থেকে বলে দিতে চাই আমাদের শিবচরের তরুণ প্রজন্মরা জীবন দিয়ে হলেও এই নির্মাণাধীন প্রজেক্টকে অন্য কোথাও স্থানান্তর হতে দেবে না।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরের চার থানার ওসিসহ ৮ পুলিশ কর্মকর্তা বদলি
সংবাদ সম্মেলনে হাজী শরিয়তউল্লাহ (র.) সমাজকল্যাণ পরিষদের অন্যান্য সদস্যসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ প্রযুক্তির নানাখাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুর জেলার শিবচরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে 'ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশেষায়িত এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: ৬ মাস ধরে বন্ধ র্যাভিস ভ্যাকসিন, মাদারীপুরে বাড়ছে জলাতঙ্ক রোগের শঙ্কা
অধিগ্রহণকৃত ৭০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেখানে বালু ফেলে ভরাটের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নানা কাজে জুলাই ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রথমে শেখ হাসিনার নাম বাদ দিয়ে প্রকল্পের নাম পুননির্ধারণ করে 'বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' করা হয়। এবার নামের পর বাদ যাচ্ছে প্রকল্পটির জন্য নির্ধারিত স্থানও। এর প্রতিবাদে শিবচরের সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।