তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে শিক্ষাকে ধ্বংস করতে পাঠ্যপুস্তককে বানিয়েছে পারিবারিক অ্যালবাম, ইতিহাসকে রূপ দিয়েছে পারিবারিক ইতিহাসে। নিউক্লিয়ার বোম্ব, এটোম বোম্ব মেরে ধ্বংস করার দরকার নেই, শিক্ষাকে ধ্বংস করলেই দেশই জাতি ধ্বংস হবে। তারা সেটাই করেছে।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ছাত্র- শিক্ষক-অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোর শহর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপু গ্রেফতার
মিলন আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা দিয়ে ই পরিবর্তন আনতে হবে। এ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে। আল্লাহ যদি আমাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেন, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিব। শিক্ষকরা থাকবেন সবচেয়ে উঁচু চেয়ারে। যে কোনো মিটিংয়ে প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষরা ওসি ও ইউএনওদের পেছনের চেয়ারে বসেন। আমাদের দেশের যে সিস্টেম, তার পরিবর্তন আনতে হবে। যে যাই বলুক না কেন, শিক্ষায় ভারত আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। অমেরিকান ও ইউরেশীয় অঞ্চলগুলোতে ভারত অত্যন্ত এগিয়ে গিয়েছে। আমরা ও শিক্ষায় আগাতে শুরু করেছিলাম, উন্নতি হচ্ছিল এরই মধ্যে ১৬ থেকে ১৭ টি বছর শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বছর শিক্ষা কারিকুলাম তারা (আওয়ামী লীগ) পাল্টে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে তারা, তা আপনাদের সকলেরই জানা। সৃজনশীল পদ্ধতি আমাদের (বিএনপি সরকার) পরিকল্পনা তারা শুরু করলে ও শিক্ষকদের কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই শিক্ষা দিতে নামিয়েছে, ফলাফল কী আসছে আপনারা শিক্ষকরা ভালো করেই উপলব্ধি করেছেন। নকলকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে এমন কি বিসিএস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় তদবির বাণিজ্য করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে একদম ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি করে, লেয়ারে লেয়ারে তাদের দলীয় লোক বসিয়ে রাষ্ট্রের সক্ষমতা নষ্ট করেছেন।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীম গ্রেফতার
এসময় মতবিনিময় সভায় সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামানের সভাপতিত্বে, বিদ্যালয়টির শিক্ষক- শিক্ষার্থী অভিভাবকরা ছাড়াও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আহাদুজ্জামান বাটু, সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জাম সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।