ভুক্তভোগীরা জানান, শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের টালিয়াপাড়া গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তা বেদখল করে ঘর নির্মাণ করেছেন চরমোচারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সামাজিক কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক পদটিও বাগিয়ে নেন।
২০১২ সালে চাহিদার ভিত্তিতে গ্রামের সাধারণ মানুষ মিলিত হয়ে ৪১ শতাংশ জমির উপর একটি সামাজিক কবরস্থান স্থাপন করেন। পরবর্তীতের কবরস্থানে যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় ২০২০ সালে স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় সাধারণ সম্পাদক মোশারফের তত্ত্বাবধানে ৪ শতাংশ জমির রাস্তার জন্য কেনা হয়। সেসময় সাধারণ সম্পাদক তথ্য গোপন করে গ্রামবাসীকে রাস্তা বুঝিয়ে দেননি। কিছুদিন পর ওই রাস্তার জমিটি বেদখল করে বাড়ি করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। কিন্তু স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে, মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে স্থলবন্দর পরিদর্শনে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর মোশারফের কাছ থেকে কবরস্থানের রাস্তার জমি ফেরত চাইলে তিনি রাস্তা ফেরত না দেয়ার নানান ফন্দি আঁটতে থাকে। এদিকে গ্রামের লোকজনের মৃত্যু হলে, দাফন সম্পন্ন করতে কবরস্থানে যাওয়ার বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই বিভিন্ন জায়গায় দাফন করছেন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কবরস্থানের রাস্তাটি দখলমুক্ত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট ছাড়া কিছুই নেই শেরপুর হাসপাতালে!
শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। জানার পর সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব হবে।
]]>