বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের সামনে থেকে গণসংযোগটি শুরু করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী। পরে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা টাউনহল, নতুন বাজার ও গাঙ্গিনারপাড় মোড়ে গণসংযোগ করেন।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শরিফ ওসমান হাদী বলেন, কোনো শর্ত ছাড়াই অতিদ্রুত জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার শুরু করতে হবে। সেইসাথে যারা গত ১৫ বছর ধরে সিরিজ গণহত্যা-গণধর্ষণ, আয়নাঘর, গুম-খুন করেছে সেই খুনী আওয়ামী লীগকে অতিসত্বর নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ছাত্রলীগকে যদি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা যায়, তাহলে ছাত্র লীগের বাপ গুন্ডা খুনী লীগকে কেন নিষিদ্ধ করা যাবে না।
এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওসমান হাদী বলেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দল সেটা যদি ছাত্রদের এনসিপিও হয়, তারা যদি দুই হাজার শহীদের রক্ত বিক্রি করে আহত পঙ্গু-অন্ধদের সাথে গাদ্দারি করে দিল্লির প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় তাহলে তাদের পিঠের চামড়া রাখা হবে না।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিচারে একমত হেফাজত-এনসিপি
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে আমার রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা, সবজীর দোকানদার ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন, তারা কোনো ক্ষমতায় যেতে চায় না। তাদের নাম ব্যবহার করে জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যদি কেউ মিরজাফরি করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসতে চায় বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে তাদের কোনো মরদেহ দাফন হবে না।