ভারতের অপারশেন সিন্দুরের জবাব পাকিস্তান দিয়েছে বুনিয়ান মারসুসের মধ্য দিয়ে। শুক্রবার রাতে পাকিস্তানী ক্ষেপনাস্ত্র হামরায় কেঁপে উঠে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ বেশ কয়েকটি শহর। এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটি মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর স্থগিত করা হয় টুর্নামেন্ট। এক সপ্তাহ পর আবারো আইপিএল শুরু করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রকরা।
সপ্তাহখানেক পর কীভাবে আইপিএল শুরু করা যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসে বিসিসিআই। একটা আপদকালীন সমাধানও খুঁজে পেয়েছে ভারত। বড় রাষ্ট্র হওয়ায় ভারতের কাশ্মীরসহ ঐ অঞ্চলীয় শহরগুলো ছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই অন্য শহরগুলোতে। তাই আইপিএল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। যদিও ভারত ও পাকিস্তান দুই পক্ষই যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার ‘ভয়ে’ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে হারল ভারত
তবুও প্রাথমিক আলোচনা অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের পছন্দের তালিকায় আছে তিন শহর। চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু। আলোচনায় আছে কলকাতার নামও। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে বেশ দূরে এই শহরগুলো। তাই এই শহরগুলোতে পুনরায় শুরু হতে পারে আইপিএল। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট কর্তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।
শঙ্কায় আছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। অনেকে বলছেন ১ সপ্তাহের মধ্যে আইপিএল শুরু না হলে ভারত ছাড়তে চান তারা। তবে অনেকে সেই সময়টাও অপেক্ষা করতে রাজি নন। এরইমধ্যে ভারত ছেড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার। এখন দেখার বিষয় অন্য বিদেশিরা এমন পরিস্থিতে দেশটিতে অবস্থান করেন কি না।