আইএইএ প্রধানকে পাঠানো যৌথ চিঠিতে যা বলল ইরান চীন রাশিয়া

৩ সপ্তাহ আগে
ইরান, রাশিয়া আর চীন মিলে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিকে যৌথ চিঠি দিয়েছে। এতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর পশ্চিমা নজরদারির মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে পাঠানো এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর রেজ্যুলেশন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ। এছাড়া আঞ্চলিক উত্তেজনার পেছনে ইরান জড়িত এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জাতিসংঘে তেহরান পাল্টা অভিযোগ করেছে, পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দায়ী।

 

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধ করতে বারবার চেষ্টা চালিয়েছে পশ্চিমারা। আর সে লক্ষ্য পূরণে ২০১৫ সালের ২০ জুলাই পাশ করা হয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর রেজ্যুলেশন। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয় এই আইন। এই রেজ্যুলেশনের মেয়াদ ১০ বছর থাকায় চলতি মাসের ১৮ তারিখে শেষ হলো মেয়াদ।

 

এরই প্রেক্ষিতে ইরান, রাশিয়া আর চীন মিলে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা, আই.এ.ই.এ-কে যৌথ চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর রেজ্যুলেশন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ।

 

আরও পড়ুন: গাজার শাসনব্যবস্থা টেকনোক্র্যাটদের হাতে তুলে দিতে রাজি ফিলিস্তিনি দলগুলো

 

তাই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে রিপোর্ট করার আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই জাতিসংঘ কিংবা আই.এ.ই.এ-র। এ নিয়ে ইরানের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা চালুর চেষ্টা বেআইনি ও অবৈধ।

 

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে। তেহরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না ইরান। একইসঙ্গে জাতিসংঘ সনদের নীতির প্রতিও প্রতিশ্রুত তারা।

 

আঞ্চলিক উত্তেজনার পেছনে ইরান জড়িত এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিম এশিয়ায় সঙ্কটের মূল কারণ মার্কিন সামরিক উপস্থিতি। এমনকি গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহতের দায়ও ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন