এলমাসরি বলেন, ‘সিরীয়রা এখন এক ধরনের উচ্ছ্বাসপ্রবণতার মধ্যে আছেন। তারা স্বাধীনতা উদযাপন করছেন। তবে এই উচ্ছ্বাস বেশিদিন টেকসই হবে না, যদি তাদের মৌলিক অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করা না যায়।’
সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তেল রফতানির নিয়ন্ত্রণ নেয়া। যা ২০১১ সালে সিরিয়ার রাজস্বের এক চতুর্থাংশের যোগান দিত।
আরও পড়ুন:বিদ্রোহীদের ঘোষণা / আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিলুপ্ত হবে, বন্ধ হবে কুখ্যাত কারাগারগুলো
এলমাসরি বলেন, বেশিরভাগ তেলক্ষেত্র সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক বাহিনী।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, যা দেশের কৃষি পণ্যের রফতানি বাধাগ্রস্ত করছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো ‘ওয়েট অ্যন্ড সি’ পন্থা অবলম্বন করছে বলে মন্তব্য করেন এলমাসরি।
এলমাসরি আরও বলেন, এই পন্থা অনুযায়ী পশ্চিমারা মনে করছে যে, নতুন সিরিয়ার সরকার যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রতিনিধিত্বশীল এবং গণতান্ত্রিক হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে বা ইঙ্গিত দেয়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াসহ তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিদ্রোহীরা অভিযান চালিয়ে দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করেন। এরপর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় সিরিয়ায়।
আরও পড়ুন:নতুন সিরিয়া গড়তে সরকারের অর্থ প্রয়োজন: অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী
]]>