দুদকের সহকারী পরিচালক (বিশেষ তদন্ত-২) সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের অনুমোদনক্রমে এ মামলা করেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুদকের নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে প্রস্তাবিত মর্টগেজ সম্পত্তির অস্বাভাবিক মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি কৃত্রিম কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড (এসটিএল) নামীয় বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেন।
ব্রিফিংয়ে দুদক জানায়, প্রকৃত ৮৭ কোটি টাকা মূল্যের জমিকে ১০২০ কোটি টাকা দেখিয়ে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে উক্ত অর্থ এসটিএল-এর চলতি হিসাব নং ০২১০২৬৪৩৩৭০০১-এ জমা করে, তার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা এফডিআর করা হয় এবং বাকি ৮০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: টিউলিপকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাইবে দুদক
এ ছাড়াও ব্যাংকিং নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে এই অর্থ নগদে উত্তোলন এবং স্থানান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তদের এই কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১৮-এর ৪ ধারা লঙ্ঘন করেছে।
দুদক জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।