অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের কোটি টাকার গাছ

১ সপ্তাহে আগে
কিশোরগঞ্জে রেললাইনের পাশে ভেঙে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার গাছ। অনমুতি না থাকায় এসব গাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে স্থানীয়রাও ব্যবহার করতে না পারায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে পড়ে গাছগুলো রোদ ও বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ বছর আগে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রেললাইনের দুই পাশে আকাশি, মেহগনি, কড়ইসহ নানা প্রজাতির বনজ গাছ রোপণ করা হয়। তবে এরপর আর গাছগুলোর সংরক্ষণ বা তদারকি দেখা যায়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠা এসব গাছ প্রায়ই নানা দুর্যোগে পড়ছে। তবে কোনো অনুমতি না থাকায় এসব গাছের কোনো ব্যবহার হচ্ছে না, অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার গাছ।

 

ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেলপথে কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রেললাইনের দুই পাশে পড়ে আছে গাছ। কোনোটি এখনও সতেজ, কোনোটি প্রায় শুকিয়ে গেছে, আবার অনেক গাছ নষ্ট হয়ে মাটিতে মিশে গেছে।

 

স্থানীয়রা জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে মাঝেমধ্যেই লাইনের ওপর ভেঙে পড়ে গাছ। ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে এগুলো কেটে পাশে ফেলে রাখা হয়। এরপর আর কেউ খোঁজ নেয় না গাছগুলোর। এভাবেই বছরের পর বছর মাটিতে পড়ে থেকে বিনষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের লাখ লাখ টাকার মূল্যের গাছ। যেন দেখার কেউ নেই।

 

আরও পড়ুন: কলকাতার খালে বিলীন সাতক্ষীরার রাস্তা, ভোগান্তি চরমে

 

রেললাইনের পাশে ভেঙে পড়া গাছ পচে মাটিতে মিশে যাচ্ছে। ছবি সময় সংবাদ

 

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের চাঁনমারি রেলক্রসিং মোড় থেকে কলাপড়া রেলক্রসিং মোড় পর্যন্ত রেললাইনের পাশেও কয়েকশ’ গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এগুলোর বেশিরভাগই শুকিয়ে ও পচে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকা মূল্যের এসব গাছ অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হলেও এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। চোখের সামনে মূল্যবান সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝড়বৃষ্টিতে প্রায়ই রেললাইনে দুই পাশে গাছ লাইনের ওপর ভেঙে পড়ে। এ ক্ষেত্রে গাছ সরিয়ে লাইনের পাশে রেখে দেয়া হয়। সরকারের অনুমতি না থাকায় এগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা সম্ভব হয় না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের ঊধ্বর্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) আনিছুজ্জামান।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন