বুধবার (২৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের অনধিকার চর্চা সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে’ সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দেয় ভারত। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি এবং সম্প্রীতি নষ্ট করার পরিকল্পনা ছিল চিন্ময়ের: উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন।
হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কারাগারে নেয়ার সময় চিন্ময় অনুসারীদের হামলায় আদালতের সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন।