সিবিএস-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কিছুদিন পরই শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, তিনি তা গ্রহণ করেছেন কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, এনবিসি নিউজকে শুক্রবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং চলতি সপ্তাহেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি শি’র
মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত চীনের প্রেসিডেন্ট যোগ দিলে, সেটি হবে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। নিজের হবু প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চীনবিরোধী ব্যক্তিদের মনোনীত করে রেখেছেন ট্রাম্প। তাদের একজন হলেন পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত সিনেটর মার্কো রুবিও।
এছাড়া ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের ওপর শুল্ক আরোপের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত করে রেখেছেন। যেমন ফেন্টানিল নামক মাদকের চোরাচালান বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ না নিলে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ এমনকি ৬০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে হুমকি দেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: বাইডেন-শি ঐক্যমত্য /এআই নয়, পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা উচিত মানুষের
এর প্রতিক্রিয়ায়, চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সতর্ক করে বলেছিল, ফেন্টানিল সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করে বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশকে মারাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছেন ট্রাম্প।
]]>