গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর আফ্রিদিকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে সেই সময়ে খুব একটা ভালো ফর্মেও ছিলেন না এই বাঁহাতি পেসার। কিন্তু বর্তমানে দারুণ ফর্মে আছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন আফ্রিদি। প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করার পথে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। এত ভালো ফর্ম করেও টেস্ট দলে না থাকা নিয়ে তৈরি হয় নানা পশ্নের।
আরও পড়ুন: এমসিসির সদস্যপদ পেলেন শচীন
পাকিস্তানের সাবেক কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, ‘বিশ্বাস হয় না, ও যদি দক্ষিণ আফ্রিকায় বোলিং না করে, কোথায় করবে? বোলিং করার জন্য ওটাকে দুনিয়ার সেরা জায়গা বলা হয়। আমি জানি, আপনার কাছে মির হামজা আছে, কিন্তু শাহিন ম্যাচ উইনার।’
তবে বোর্ড জানিয়েছিল ভিন্ন কথা। তারা বলেছিল ওয়ার্ক লোডের কথা। কিন্তু ক্রিকেপ পাকিস্তানের খবরে ঘটনাটি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণার আগে এক নির্বাচক আফ্রিদিকে ৪ দিনের একটি ম্যাচ খেলতে বলেছিলেন। কোনও কারণে সেটি খেলেননি আফ্রিদি। এমন অবাধ্যতার কারণেই তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়নি।
এর আগে একই উপদেশ বাবর আজমকেও দেয়া হয়েছিল। তিনিও এই পরামর্শ মানেননি, তবে তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়েছে। আফ্রিদির মতো বাবরকেও গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্টের দলে রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিসিএলে মুরশিদার সেঞ্চুরি, সুমনার ৫ উইকেট
ক্রিকেট পাকিস্তান এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, একজন নির্বাচকের কর্তৃত্ববাদী আচরণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি করছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আফ্রিদি এখনও লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চান। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে না পেরে তিনি হতাশ। ওয়ানডে সিরিজ শেষে তিনি টেস্টের জন্য সেখানে থাকতে চেয়েছেন, তবে কেউ তাকে টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তাব করেননি।
এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল ফরচুন বরিশালের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। এবারের বিপিএল শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর। শাহিন আফ্রিদি বিপিএলে বরিশালের হয়ে শুধু প্রথম পাঁচটি ম্যাচ খেলতে পারবেন। কারণ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাকে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলার অনুমতি দিয়েছে।
]]>