সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিলির মা রাশেদা বেগম।
মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামের কৃষক আয়ুব আলির মেয়ে মিলি আক্তারের সঙ্গে মমরুজকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলাম মানিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মিলি আক্তারের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও মানিক তাকে ভুলতে পারেনি। এদিকে বিয়ের পর মিলির স্বামী বিদেশ থাকায় বাপের বাড়িতে থাকতেন মিলি।
আরও পড়ুন: বর্ষপূর্তি পালন নিয়ে যা বললেন বায়তুল মোকাররমের খতিব
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় সফিকুল ইসলাম মানিক ও মমরুজকান্দি গ্রামের শাহজাহানের ছেলে জাহিদ মিলে মিলি আক্তারকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা মিলির মুখ, বুক, পিঠ ও হাত ঝলসে যায় এবং মা রাশেদা বেগমের হাত ও উরু ঝলসে যায়।
পরে তাদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মিলির বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে সফিকুল ইসলাম মানিক ও জাহিদকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং অ্যাসিড নিক্ষেপ করার সত্যতা স্বীকার করেন।
মিলি আক্তারের বাবা আইয়ুব আলী বলেন, যারা আমার মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপে মেরে ফেলেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শফিকুল ইসলাম মানিক এবং তার সহযোগী জাহিদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ঘটনার দায় স্বীকার করে তারা দু’জনই চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে পিস্তলসহ আটক ৪ তরুণ-তরুণী
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে উপজেলার সুজাতপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেয়া অ্যাসিডদগ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মিলি ও তার মা রাশেদা বেগম। পরবর্তীতে তিনমাসের মাথায় মিলি আক্তার সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার ৭ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে।
]]>