বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়। ট্রেনটি পথিমধ্যে ৯টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ভৈরব ও নরসিংদী স্টেশনে যাত্রীর অধিক চাপ থাকার কারণে ভৈরব থেকে একটি কমিউটার ট্রেন চালুর দাবি করে আসছিল ভৈরব ও নরসিংদীবাসী। ইঞ্জিন ও কোচ সংকটের কারণে এতদিন তা বাস্তবায়ন হয়নি দাবিগুলো।
তবে এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় ভৈরব থেকে ঢাকাগামী সরকারি ও বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে বাড়ি থেকে গিয়েই অফিস করতে পারবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে পারবে। মাত্র ৪৫ টাকা ভাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভৈরব যাতায়াত করতে পারায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। এ ছাড়াও মহিলাদের জন্য আলাদা একটি কোচ দেয়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তারা।
আরও পড়ুন: ঈদে ট্রেনযাত্রায় যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন
ট্রেনের প্রথম যাত্রী হতে স্টেশনে ভোরেই চলে আসেন নরসিংদীর দেলোয়ার হুসেন সজল। তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি প্রতিফলিত হওয়ায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আসন বিন্যাসটা তিতাস কমিউটার ট্রেনের মত করা হলে পরবর্তী স্টেশনের যাত্রীরা আসন পাবে। তা না হলে পরবর্তী স্টেশনের যাত্রীরা আসন পাবে না, তাদের দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হবে।
তবে কিছু দিনের মধ্যেই ট্রেনটি নিয়মিত মোট ৪ বার আপ ও ডাউন করবে বলে জানান ভৈরব স্টেশনমাস্টার আবু ইউছুফ। তিনি বলেন, নরসিংদী কমিউটার ট্রেনটি চালু হওয়ায় চাকরিজীবী মানুষ কম খরচে ভৈরব থেকে ঢাকায় গিয়ে অফিস করতে পারবেন। অপরদিকে ভৈরব ও নরসিংদীবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি প্রতিফলিত হয়েছে।