ই-কমার্স খাতে ভোক্তার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। তাই ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করছেন।
বর্তমানে অনেক অনলাইন বিক্রেতা ভোক্তাদের জন্য আকর্ষণীয় অফার বা পুরস্কারের ঘোষণা দিচ্ছেন। যেমন, বই বা পোশাক কিনে পবিত্র ওমরা পালনের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আবার, আতর, চশমা বা অন্যান্য প্রসাধনী কিনলে মোটরসাইকেল জেতার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
কিছু বিক্রেতা একাধিক পুরস্কারেরও ঘোষণা দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যারা তাদের পণ্য ক্রয় করবেন, তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। বিজয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করা হয়, যাতে এটি স্বচ্ছ থাকে।
আরও পড়ুন: জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না যে ৭ শ্রেণির মানুষ
এখন প্রশ্ন হলো, এই ধরনের কেনাকাটায় পুরস্কার গ্রহণ ইসলামি দৃষ্টিকোণে বৈধ কি না। ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, এখানে প্রথমে লক্ষ্য করতে হবে, ব্যবসায়ী তার পণ্য ন্যায্য মূল্যে এবং মানসম্পন্ন অবস্থায় বিক্রি করছেন কি না। যদি পণ্য ন্যায্য মূল্যে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করা হয়, তাহলে এই ধরনের পুরস্কার গ্রহণ বৈধ।
তবে, যদি পুরস্কারের কারণে পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়া হয় বা ক্রেতা শুধু পুরস্কারের লোভে প্রয়োজনবিহীন পণ্য বেশি দামে ক্রয় করে, তাহলে এটি ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। এমন অস্বাভাবিক কেনাকাটাকে ইসলামি স্কলাররা জুয়ার সমতুল্য বলে মনে করেছেন, যা পরিহার করা উচিত।
]]>