ধরেন আপনার মোটামুটি পরিচিত একজন বন্ধু, অনেক দিন বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, হঠাৎ আপনি জানতে পারলেন, তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেছে, আপনি মনে মনে বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, হে আল্লাহ আপনি তাকে সহি সালামতে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাশে থাকা ফেরেশতা বলে উঠলো, ‘আমিন, তোমার জন্যও এমনটাই হোক’। এভাবেই ফেরেশতারা দোয়া করেন।
আরও পড়ুন: অসুস্থতাও যেভাবে আল্লাহর নেয়ামত
একটি হাদিসে আছে, হজরত সাফওয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সাফওয়ান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকট একজন ফেরেশতা তার দোয়ার সময় আমিন বলতে থাকেন। যখনই সে তার কল্যাণ কামনা করে দোয়া করে, তখন ফেরেশতা বলেন, আমিন, তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ।’ (ইবনে মাজাহ ২৮৯৫)
অপরের জন্য দোয়া করার মধ্যে শুধু ওই ব্যক্তিরই কল্যাণ নয়, বরং যে তার জন্য দোয়া করছেন তাকেও আল্লাহ সে রকম দান করবেন। বরং তার দোয়াটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। কেননা সে যখন অপরের জন্য দোয়া করবে তখন একজন ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করবে। আর ফেরেশতার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অন্যের জন্য দোয়া করার বিষয়ে কোরআনেও গুরুত্বারূপ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, ক্ষমা করো আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও, যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু। (সুরা হাশর ১০)
এ জন্য বুদ্ধিমানরা নিজের একান্ত কোনো প্রয়োজনের ক্ষেত্রে হলে ওই জিনিস অন্যের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে থাকে। তখন আল্লাহ তার সেই প্রয়োজন পূরণ করে দেন।
আরও পড়ুন: ছেলের প্রতি লোকমান হাকিমের ১০ উপদেশ
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা যা পছন্দ করো, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করবে। আরও বর্ণনায় আছে, প্রতিবেশীর জন্যও পছন্দ করবে।’ (সহিহ মুসলিম : ৭৪)
]]>