গত বছরের ৩০ অক্টোবর স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ৩১ অক্টোবর দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে জাতির সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করেন বাংলার বাঘিনীরা। এদিন সাফজয়ী ফুটবল দলকে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও দেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ১ নভেম্বর তাদের সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরো কিছু সংবর্ধনার পর সাফজয়ী ফুটবলাররা নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ছুটিতে বাড়ি ফিরে যান। তবে তারা কবে আবার বাফুফে ক্যাম্পে ফিরবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তখন। ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৬ ডিসেম্বর বাফুফেতে ফেরেন নারী ফুটবলাররা। কক্সবাজারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ৭ ডিসেম্বরের পর আবারও বাফুফেতে দেখা যায় নারী ফুটবলাদের। তবে বাফুফে ক্যাম্প শুরু না করে আবারো ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় সাফজয়ীদের। তখনো সুনির্দিষ্ট কোনো ছুটির সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে কোথায় নতুন বছর উদ্যাপন করলেন নেইমার
ফুটবলাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছুটির সময়টিতে তারা পড়াশোনা আর নিজেরাই অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন। এছাড়া ভিডিও নির্মাণের মাধ্যমে নিজেদের ছুটি উপভোগ করছেন তারা যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
নারী ফুটবলাররা বলছেন, ক্যাম্পে যত দ্রুত ফেরা সম্ভব, ততই ভালো। তবে তাদের ছুটি কবে শেষ হবে, সে বিষয়টি জানে কেবল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সাফ জয়ী দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা সময় সংবাদকে বলেন, 'সাফজয়ীদের ছুটি কবে শেষ হবে তা জানি না। এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে যত দ্রুত ক্যাম্পে ফেরা যায় মেয়েদের জন্য ভালো। খুব তাড়াতাড়ি ডাকতে পারে তবে কত তারিখে ডাকবে জানি না।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের যে গুণ এমবাপ্পের পছন্দের
বাফুফের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে মেয়েদের ছুটির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এ বিষয়টি নিয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।