উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এরইমধ্যে অসুস্থতাজনিত কারণে ৩২ জনের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অনশনরত অবস্থায় রয়েছেন বাকি ২৯
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্ররা মেঝেতে তোশক বিছিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউ শুয়ে আছেন, কেউ বই পড়ছেন। পাশে কয়েকটি স্ট্যান্ড ফ্যান রয়েছে। সেন্টারের সামনে কুয়েটের একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেয়ার জন্য দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। দুই রাত তারা খোলা আকাশের নিচে থাকার পর ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে ঢোকেন। কিন্তু হলে খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ তাদের দাবি পূরণের উদ্যোগ নেয়নি। তাই তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের আহ্বানে সাড়া দেননি কুয়েট শিক্ষার্থীরা, চলছে অনশন
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোমবার দুই দফায় শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে ফেরাতে আলোচনা করতে এলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানান তারা।
কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে দুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আবারও শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলব। আশাকরি শিক্ষার্থীদের বুঝাতে সক্ষম হবে।’