সম্প্রতি সিলেটের সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবি সদস্যরা ভারি মেশিনগান নিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সমান তালে চলছে টহল।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন এমনই সতর্ক অবস্থান বিজিবি সদস্যদের। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আগের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বাংকারগুলোতে ভারী মেশিনগান নিয়ে চলছে সতর্ক পাহারা।
দিনের বেলা যতদূর চোখ যায় নজর রাখার পাশাপাশি রাত নামলেই চলছে একাধিক দলে ভাগ হয়ে টহল কার্যক্রম।
সিলেট অঞ্চলের সীমান্ত এলাকাগুলো দিয়ে ভারতীয় যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ রুখে দিতে বিজিবির এই হাই এলার্ট।
সীমান্তঘেষা আঁকাবাঁকা দুর্গম পথে কোথাও কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত পায়ে হেঁটে। আবার কোথাও ঝোপ ঝাড় পেরিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে দেশের সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। এরচেয়ে দুর্গম এলাকায়ও থেমে নেই পাহারা। আছে অত্যাধুনিক যান্ত্রিক সক্ষমতা এটিপি।
যেখানে হাঁটার পথ নেই, সেখানে কাজ করছে বিজিবির অত্যাধুনিক এটিপি। এগুলো দিয়ে সীমান্তে চোরাচালানরোধ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে বিজিবি সদস্যরা।
৫ আগস্টের পর থেকে বিজিবির এমন তৎপরতায় বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ধরা পরেছে ১০ জনের বেশি। এছাড়া অবৈধ পারাপারের জন্য আটক হয় ৪৫ জন। জব্দ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার চোরাচালান পণ্যও।
আরও পড়ুন: বিজিবির বাধায় অসহায় হয়ে ফিরল বিএসএফ
সীমান্তপাড়ের গ্রামবাসী জানায়, বর্ডার আগের চেয়ে অনেক গরম। আগে মানুষ রাস্তা দিয়ে অনেক মাল আনতো। এখন আর আনতে পারে না। এখন মাল আসেও না, যায়ও না।
সীমান্তঘেষা থানা ও পুলিশ ফাঁড়িগুলোতেও বাড়তি সতর্কতা।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে বা কেউ যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা চেকপোস্ট বৃদ্ধি করেছি।’
বিজিবি বলছে, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে একচুলও ছাড় নয়।
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, ‘চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, বহির্গমন ও সীমান্ত রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।’
নিরাপদ সীমান্তের জন্য সিলেট অঞ্চলে বিজিবির শতভাগ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শুধু প্রয়োজন সীমান্তবর্তী মানুষের সচেতনতা।