বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, টেপারবিল ও তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকার বেশিরভাগ গাছ শুকিয়ে গেছে। বেশকিছু বড় সুন্দরী গাছের পুড়ে যাওয়া গোড়ার অস্তিত্ব দেখা যায় তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে। ধারণা করা হচ্ছে আগুনের তাপে শুকিয়ে যাওয়া এসব গাছ দ্রুতই মারা যাবে। সুযোগমত স্থানীয় লোকেরা এসব গাছ কেটে নিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবেন।
ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ঘটনাস্থলে স্থানে এখন কোনো আগুন নেই। আগুন সম্পূর্ণরুপে নির্বাপন হয়ে গেছে। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য জোয়ারের সময় পানি ছিটানো হচ্ছে। আগামীকালও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর ফায়ার আউট ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ধোঁয়া দেখলেই দেয়া হবে পানি, পর্যবেক্ষণ হবে রাতেও
তিনি আরও বলেন, পরপর দুটি এলাকায় আগুন ধরার কারণে আমাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আমরা দুটি স্থান ড্রোন ও জিপিএসের মাধ্যমে মনিটরিং করেছি। আপাতত সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জিপিএসের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়েছে। এছাড়া দুটি ঘটনায় আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে। তখন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: থেমে থেমে জ্বলছে সুন্দরবনের আগুন, আরও এক তদন্ত কমিটি
শনিবার (২২ মার্চ) সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী বন টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে। রাতভর চেষ্টায় পরদিন সকালে সেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস। সুপ্ত আগুন ও ধোয়ার কুন্ডলী খুজতে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে। তখন কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে আগুনের অস্তিত দেখতে পায় বন বিভাগ। সেই আগুনে সুন্দরবন পুড়েছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। অবশেষে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলের দিকে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ রুপে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য ওই এলাকা পর্যবেক্ষনে রাখবে বন বিভাগ। এই সময়ে পানিও ছেটানো হবে বনের মধ্যে।
]]>