বিপিএল নিয়ে হাস্যরসের কোনো শেষ নেই। গত ১০ আসরে বেশিরভাগ সময়েই টুর্নামেন্টের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিজেদের কর্মকাণ্ডের কারণে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিসিবি এবং টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটিও। তবে এবারের বিপিএলে সেসব রোধ করতে নতুন কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি।
বিপিএলের গত আসরে এক দুরন্ত রাজশাহীই রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল বিসিবিকে। রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচের আগে পারিশ্রমিকের এক টাকাও না দেয়ায় মাঠে নামতে চাননি দলটির খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত দেশি খেলোয়াড়দের মাঠে নামতে রাজি করাতে পারলেও বিদেশিরা হোটেল থেকেই বের হননি। এতে বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি বিদেশি গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রচার হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিএলের একাদশ আসর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে
এবার এমন পরিস্থিত এড়াতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বিসিবি। সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে বেশকিছু নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এছাড়া টুর্নামেন্ট শুরুর ৩ মাস আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তাদের দলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে বিসিবির।
বিপিএলের আসন্ন আসতে ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করেছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। এখন সেটি যাচাই-বাছাই করছে বিসিবি। গতকাল (২ জুলাই) ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিপিএলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমরা আশা করি আগস্টের মধ্যে হয়তো নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়ার যে প্রক্রিয়া সেটা শুরু করব এবং আমরা একটা টাইমলাইন রেখেছি যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন ফ্রাঞ্চাইজিগুলো নিযুক্ত করা।’
বিপিএলের আগের আসরগুলোতে ব্যবস্থাপনায় অনেক অনিয়ম দেখা গেছে। আর সে কারণেই এবার ওই দায়িত্ব দেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। আগামী মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠান বাছাই এবং তাদের সঙ্গে চুক্তি সেরে নিয়ে অক্টোবরে টুর্নামেন্টের ড্রাফট আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিবি।
আরও পড়ুন: ড্রাফটের আগেই বরিশালের স্কোয়াডে ৬ বিদেশি তারকা
এ প্রসঙ্গে বিপিএলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ড্রাফটটা আরেকটু পরে। প্রথমত আমরা একটা টাইমলাইন করেছি, সে টাইমলাইন অনুযায়ী ড্রাফটটা আমি মনে করি অক্টোবরের আগে হবে না। কারণ আমরা যদি দেখি আমাদের যে সময়টুকু রয়েছে সে সময়টুকু আমরা যেভাবে বলেছি যে, স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির নিয়োগ আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যদি আমরা শেষ করতে পারি, আগস্টের শেষের মধ্যে আমরা ফ্রাঞ্চাইজি নিযুক্ত করার প্রক্রিয়ায় যাব। এটা সেপ্টেম্বরে যদি শেষ করি তাহলে হয়তো অক্টোবরে আমরা ড্রাফটে যেতে পারব।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজির স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে মিলে একটা সিদ্ধান্তে আসব যে কিসের ভিত্তিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিয়োগ করা হবে। সেই ভিত্তিতে যদি বিদেশি মালিকানাধীন কাউকে দিতে হয়; অতীতে অবশ্য ছিল কিছু কিছু জায়গায়। আমরা শুনেছি ইংল্যান্ডের মালিকানাধীন বা বাঙালি যারা ইউএসএ’তে থাকেন, তারাও করেছে শুনেছি। তো সেই প্রক্রিয়াগুলো আমরা আগস্টে যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগে যাব, তখনই জানাতে পারব।’