মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিবিএল ভবনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫: নাগরিক প্রত্যাশা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক ও এর পরবর্তী ঘটনাবলি উল্লেখ করে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। তার প্রশ্ন: ‘নয় মাসে কী হলো? এই যে জিএসএ, বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আলী রীয়াজ সাহেবদের সঙ্গে বসে চা-বিস্কুট খেল–এটার আল্টিমেট গোলটা কী? আল্টিমেট রেজাল্টটা কী?’
শামা ওবায়েদ বলেন, কমিশনের বৈঠকে ঐকমত্য না হওয়ার চিত্রই ফুটে উঠেছে। বৈঠকের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাহেবের দেশত্যাগ এবং আসিফ নজরুল সাহেবের ‘ঐক্য-টৈক্য তো হয় নাই’ মন্তব্য ঐকমত্যের অভাবকেই প্রমাণ করে।
তিনি কঠোর ভাষায় প্রশ্ন করেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে সবাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গেল। জাতীয় সনদে একটা স্বাক্ষর করল। দেখালো হলো আমরা এক আছি। তাহলে অ্যাজ এ লেম্যান, অ্যাজ এ ভোটার হিসেবে আমার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে: ঐকমত্য কমিশনের প্রয়োজনটা কী ছিল?’
আরও পড়ুন: জামায়াত ঝুলন্ত পার্লামেন্ট চায়: আবদুস সালাম
তার মতে, ‘ডক্টর ইউনূস এসে প্রথমেই বলতে পারতেন যে এই ৮৪টা আইটেম আছে, আপনাদের ঘরে ঘরে পাঠিয়ে দিলাম, আপনারা টিকমার্ক দেন–কোথায় আপনারা একমত, কোথায় দ্বিমত। এক সপ্তাহের মধ্যে কোর্স কমপ্লিট।’
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আপনি গণতন্ত্র চাইবেন, আবার ওভারনাইট সংস্কার চাইবেন–এই দুটি একসঙ্গে হয় না। রিফর্ম অর চেঞ্জ কন্টিনিউয়াস প্রসেস। আপনি আজ দুটি চেঞ্জ আনবেন, আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, সব গণতান্ত্রিক পরিবেশে, গণতান্ত্রিক সিস্টেমে আমরা সবাই একমত হব না। পাঁচজনের পাঁচটা মত থাকবে।’
শামা ওবায়েদের দাবি, জনগণ এগিয়ে আছে আর রাজনৈতিক দলগুলো পিছিয়ে আছে। ভোটাররা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়, কারণ গত ১৭ বছর তারা ভোট দিতে পারেনি। অথচ ‘জুলাই সনদে কী লেখা আছে’ বা ‘গণভোটে কী কী লেখা আছে’, তা ভোটাররা জানেন না।
আরও পড়ুন: ‘১৮ মাসে এক কোটি চাকরি’ নিছক বাগ্মিতা নয়, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘ওদের জানাতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস তাদের শেখাতে হবে যে ওরা কীসের ওপর ভোটটা দেবে। গণভোট ইয়েস-নো তারা কীসের ওপর বলবে, তাদেরকে বুঝতে হবে।’
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আপনারা নভেম্বর মাসে গণভোট চাচ্ছেন। টাইম কোথায়? ভোটাররা গণভোট বুঝবে–ওই আকারে একটা ট্রান্সপারেন্সি, একটা অ্যাকাউন্টেবিলিটি আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘উচ্চকক্ষে দলগুলো কীভাবে তাদের সদস্যদের আনছে, মনোনয়ন দিচ্ছে–সেই জায়গাটা থেকে আমরা বর্তমানে পিআর সিস্টেমের বিরুদ্ধে। ভবিষ্যতে যে কখনো পিআর সিস্টেম বাংলাদেশে হতে পারবে না, তা তো না।’

৩ সপ্তাহ আগে
৬






Bengali (BD) ·
English (US) ·