৯ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৪৭০ কোটি ডলার

২ সপ্তাহ আগে
গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৭.৬০ শতাংশ বা ৪৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

রোববার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৭০৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

 

আরও পড়ুন: প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, মার্চে এলো ৩২৯ কোটি ডলার


আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।


এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।


এদিকে, গত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।


এর আগে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) এসেছিল গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।
 

আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ



সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে বেড়েছে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ।


গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।


আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন