বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ ও সদর দক্ষিণ ঐক্য সংহতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই গণমিছিলে অংশ নেন কুমিল্লা মহানগর, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও লালমাই উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গণমিছিল শেষে নগরীর কান্দিরপাড়ে অনুষ্ঠিত হয় সংহতি সমাবেশ।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধভাবে ব্যারিকেড দিয়ে এই জনপদকে দুই ভাগ করা হয়েছে। আমরা চাই পদুয়ার বাজার ফ্লাইওভার সম্প্রসারণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পর্যন্ত নেয়া হোক। এজন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানিয়েছি। ষড়যন্ত্রের কারণে এই ফ্লাইওভার জনগণের কাজে লাগেনি তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক নয় নির্বাচনি এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। শুনানিতেও বিষয়টি যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করেছি। আজকেও নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, কমিশন আমাদের দাবি মেনে নেবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বুকে রড ঢুকিয়ে যুবককে হত্যা
মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লাবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে একবার কুমিল্লার সেবা করার সুযোগ দিন, আমি কুমিল্লাকে সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি নিয়ে যাব।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হুসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী, লালমাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ করিম, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, ঐক্য সংহতির আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন মজুমদার, সাবেক চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ, ওমর ফারুক সুমন চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, মহানগর দক্ষিণ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হানিফ, সদস্য সচিব সোহেল মজুমদার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, মহানগর বিএনপির মোস্তফা কামাল মজুমদার, লালমাই উপজেলা যুবদলের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক ফিরোজ মিয়া প্রমুখ।
এছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা সমাবেশে যোগ দেন।
]]>