৭১ বছর বয়সে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে স্কাইডাইভ করে ভাইরাল নারী

৩ সপ্তাহ আগে
ভ্রমণ আর রোমাঞ্চের যে কোনো বয়সসীমা নেই; সেটাই আবার প্রমাণ করলেন ভারতের কেরালার বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সি লীলা জস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে স্কাইডাইভ করে কেরালার সবচেয়ে প্রবীণ নারী স্কাইডাইভারের খেতাব পেয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শৈশবে আকাশে যখন বিমান উড়ে যেত, হাঁ হয়ে তাকিয়ে থাকতেন লীলা। বন্ধুদের বলতেন, ‘আকাশে যদি উড়তে পারতাম, কত মজা হত!’ বন্ধুরা তখন লীলাকে তার বয়স মনে করিয়ে দিতেন। খোঁটাও দিতেন। যদিও লীলা সে সবে পাত্তা দিতেন না। লীলা হাল ছাড়েননি, এক দিন নিজের স্বপ্নপূরণ করবেন।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই সুযোগটা এসে গেল লীলার। গত আগস্ট মাসে দুবাইয়ে কর্মরত ছেলে পি. অনীশের কাছে বেড়াতে গিয়ে নিজের ইচ্ছের কথা জানান তিনি। প্রথমে অনীশ ভেবেছিলেন মা হয়তো মজা করছেন। পরে মায়ের দৃঢ়তা দেখে তিনি প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে ফ্লাইট, গাইড আর ভিডিওগ্রাফিসহ পুরো আয়োজন করে দেন।

 

লীলা বলেন, ছেলে প্রথমে ভেবেছিল আমি পাগল হয়ে গিয়েছি। পরে ও বুঝতে পাল যে, এটা আমার স্বপ্ন। লীলা জানান, তিনি যখন ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাকে দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন প্রশিক্ষকেরা। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, লীলা নন, অনীশ প্রশিক্ষণ নেবেন।

 

আরও পড়ুন: সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে কী বলছে ভারত?

 

লীলা যখন ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমান থেকে ঝাঁপ দেন, তখন প্রথমে একটু যেন ভয়ই পেয়েছিলেন। তার পর সেই ভয় কেটে যায়। তখন শুধুই উত্তেজনা আর আনন্দ। তিনি বলেন, ‘৬০০০ ফুট উচ্চতায় যখন প্যারাশুট নিয়ে নামলাম, তখন বুঝলাম, আমি এ বার নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করতে পারব।’

 

দুবাই থেকে কেরালায় ফিরে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করলে বন্ধুরা প্রথমে বিস্মিত হলেও পরে তাকে জড়িয়ে ধরে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। লীলার কথায়, ‘আমি যদি পারি, তবে মহাকাশেও যেতে চাই। বয়স যদি বাধা না হয়, তবে আমি ইসরোকে অনুরোধ করতে চাই আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য।’

 

আরও পড়ুন: কলকাতায় বাধ্যতামূলক হলো বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড

 

এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে ৮০তম জন্মদিনে হরিয়ানার নারনৌলে ১০ হাজার ফুট উঁচু থেকে স্কাইডাইভ করে ভারতের সবচেয়ে প্রবীণ নারী হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন ডা. শ্রদ্ধা চৌহান। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সোরভ সিং শেখাওয়াতের মা।

 

লীলা জস ও ডা. শ্রদ্ধা চৌহানের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, রোমাঞ্চকর ভ্রমণ আর স্বপ্নপূরণের বয়সসীমা নেই। তাদের সাফল্য বিভিন্ন প্রজন্মের ভ্রমণপিপাসুদের অনুপ্রাণিত করে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন