মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যের বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় এসব প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ, নারীদের আসন নিয়েও আলোচনা হয়। রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে অংশ নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আস্থা ভোট না থাকলে সরকার পরিচালনায় স্থায়িত্ব থাকবে না। বারবার পরিবর্তন হবে সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের পক্ষে বিএনপি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার সংলাপে কোন দল কবে নির্বাচন চাইল?
বৈঠকে অর্থ বিলের পাশাপাশি আস্থা ভোট থাকার পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বরেন, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি দরকার সরকারের স্থিতিশীলতা।
এদিকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দলটির দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে হবে।
এছাড়াও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের পক্ষে মত অন্য দলগুলোর। তবে নারী আসন, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নভিন্ন মত দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: জুলাই সনদে দেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনার আশা প্রধান উপদেষ্টার
বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছে, তারা আলোকেই করা হবে জুলাই সনদ।
গেল অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বেশ কয়েকটি কমিশন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয় কমিশনগুলো। এরপর তাদের দেয়া সুপারিশের বিষয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৭০ অনুচ্ছেদে যা বলা হয়েছে
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন
তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
]]>