জুলুম ও মিথ্যাচারের পরিণতি

১৪ ঘন্টা আগে
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন স্থানে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য এবং মিথ্যাচারীদের পরিণতি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। মিথ্যা শুধু মানব সমাজেই নয়, আখিরাতেও সবচেয়ে বড় অপরাধের একটি হিসেবে গণ্য হবে। বিশেষ করে যখন কেউ আল্লাহর নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়, তখন তা চরম সীমালঙ্ঘনের শামিল হয়।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে বলেন,

 

وَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا ؕ  اُولٰٓئِکَ یُعۡرَضُوۡنَ عَلٰی رَبِّہِمۡ وَیَقُوۡلُ الۡاَشۡہَادُ ہٰۤؤُلَآءِ الَّذِیۡنَ کَذَبُوۡا عَلٰی رَبِّہِمۡ ۚ  اَلَا لَعۡنَۃُ اللّٰہِ عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ ۙ সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়? এরূপ লোকদেরকে তাদের প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সাক্ষ্যদাতাগণ বলবে, ‘এরাই তারা, যারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি মিথ্যা আরোপ করত।’ সতর্ক হও! ওই জালেমদের উপর আল্লাহর লা‘নত।

 

এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন ব্যক্তিদের কঠোরভাবে ধিক্কার দিয়েছেন, যারা আল্লাহর নামে মিথ্যা কথা বলে অথবা তার পক্ষ থেকে না বলা কোনো কিছু বানিয়ে বলে। তারা দুনিয়ায় মানুষকে বিভ্রান্ত করলেও আখিরাতে রেহাই পাবে না।

 

আরও পড়ুন: শরীরে ট্যাটু আঁকা, ইসলাম কী বলে?

 

এদেরকে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সাক্ষী হিসেবে থাকবে, কিরামান কাতিবীন (আমলনামা লেখক ফেরেশতা) প্রত্যেক নবী ও রসুল, যারা তাদের উম্মতের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন।

 

তখন প্রকাশ পাবে, কারা আল্লাহর নামে মিথ্যাচার করেছিল। আর তাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ (লানত) পড়বে, যা আল্লাহর রহমত থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চনার প্রতীক।

 

এই আয়াত আমাদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। আল্লাহর নামে মিথ্যা বলা, দ্বীনের নামে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া কিংবা নবীদের উপর মিথ্যা আরোপ করা অত্যন্ত ভয়াবহ অপরাধ। 

 

আমাদের উচিত সততা ও সত্যবাদিতার উপর অবিচল থাকা এবং দ্বীনের জ্ঞান না থাকলে কোনো বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে মন্তব্য না করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মিথ্যা ও জুলুম থেকে রক্ষা করুন এবং তাঁর রহমত ও হেদায়াত দান করুন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন